উত্তরা গণভবন

0
  • Friday, April 23, 2010
  • রেজওয়ান
  • Labels: Natore ,
  • প্রায় ৩শ’ বছরের প্রাচীন দিঘাপতিয়া রাজবাড়িটিই উত্তরা গণভবন হিসেবে পরিচিত। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা দয়ারাম রায়। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নাটোর রাজ্যের দেওয়ান দয়ারাম রায় ১৭০৬ সালে রাজা রামজীবনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বাস করার জন্য যে জমি পেয়েছিলেন, ১৭৩৪ সালে তার ওপরই স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন এই দিঘাপতিয়া রাজপ্রাসাদটি নির্মাণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর দিঘাপতিয়া রাজা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস হওয়ার পর দিঘাপতিয়ার রাজপ্রাসাদটির রক্ষণাবেক্ষণে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে ১৯৬৬ সালে এ রাজভবন ইস্ট পাকিস্তান হাউসে পরিণত হয়। ১৯৬৭ সালের ২৪ জুলাই তত্কালীন গভর্নর মোনায়েম খান এটিকে গভর্নর হাউসে রূপান্তরিত করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটিকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা দেন। আর ১৯৮০ সালের ১৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান ঢাকার বাইরে প্রথম এই উত্তরা গণভবনেই মন্ত্রিসভার বৈঠক করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। পরে বেগম খালেদা জিয়া, এরশাদ ও শেখ হাসিনা সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এই রাজবাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন।
    সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উত্তরা গণভবন কখনোই উন্মুক্ত ছিল না। তবে জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে উত্তরা গণভবন দেখা যেত। ২০০৬ সালের নভেম্বর থেকে প্রশাসন গণভবন দেখানোর ব্যাপারে আরও কঠোর হয়। সরকার ২০০৭ সালের ১৭ নভেম্বর উত্তরা গণভবন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় নাটোরের সর্বস্তরের মানুষ। এ সিদ্ধান্তের খবর পরের দিন কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে গুরুুত্বের সঙ্গে প্রচার হলে সারাদেশ থেকে সচেতন দর্শনার্থীরা আবারও উত্তরা গণভবন দেখার জন্য প্রতিদিনই আসতে থাকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আগত হাজার হাজার দর্শনার্থী গণভবন না দেখে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
    এ ব্যাপারে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুলতান আবদুল হামিদ জানান, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় উত্তরা গণভবনে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ও ভবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং আরও কিছু সমস্যার কারণে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সেই সিদ্ধান্ত এখানও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

    0 comments:

    Post a Comment